Friday, July 3, 2015

বিজয় দিবসের ঐতিহাসিক পটভূমি - প্রফেসর মোশতাক আহমদ

PROF. MUSHTAQUE


অস্ট্রিক, কিরাত, ভেড্ডি, টিবেটো বার্মান, আলপাইন, কোল ভীল, আরবী, ফার্সী,তুর্কি পর্তুগীজ ইত্যাদি  বিভিন্ন জনগোষ্ঠির সমন্বয়ে অভ্যুদয় ঘটে গাঙ্গের ব-দ্বীপে একটি জাতিগোষ্টীর-যে জাতির নাম বাংগালী জাতি। এ জাতির জন্ম লগ্ন থেকেই শাসিত-শোষিত হয়ে আসছিলো দেশী-বিদেশী রাজা-বাদশাহ ও সামন্তদের দ্বারা। তারা জীবনে কোন দিনই স্বচ্চলতা ও স্বাচ্ছন্দ্যের মুখ দেখে নি। তাদের জীবন-যাপন ছিল অনেকটা ভূমিদাসের মতো। এ অবস্থা থেকে তাদের কোন দিন মুক্তি ঘটবে এমন কথা তারা স্বপ্নেও ভাবে নি। ভূমিজ সন্তান রাজা শশাংক ও পাল বংশের শাসনামলে তারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও তা ছিল ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে স্বল্পস্থায়ী। পাল রাজাদের পতনের পর অখন্ড বাংলার শাসনভার চলে যায় দক্ষিণ ভারত থেকে আগত সেন বংশের হাতে। এ বংশের শেষ রাজা লক্ষণ সেন তুর্কি সৈনিক ইখতিয়ার উদ্দীন মোঃ বখতিয়ার খলজীর হাতে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হলে বাংলার শাসনভার চলে যায় তুর্কিদের হাতে। তারপর ইতিহাসের পথ ধরে ক্ষমতায় আসে বহিরাগত মুসলিম সোলতান, ক্ষমতায় আসে পাঠান-মোগল এবং সবার শেসে সামাজ্যবাদী ইংরেজ বেনিয়ারা। অর্থাৎ বাংলার হাজার বছরের ইতিহাস নির্মম নিপীড়নের ইতিহাস, বাংলার ইতিহাস লাঞ্ছনা-বঞ্চনার ইতিহাস। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের এতদ অঞ্চলের মাটি অত্যন্ত উর্বর। অল্প পরিশ্রমে এখানকার মাটিতে ফলে সোনার ফসল। এখানকার মানুষের গোয়াল ভরা ছিলো গরু, গোলাভরা ছিল ধান আর পুকুর ভরা ছিলো মাছ।  কিন্তু তারপরও এখানকার মানুষের ছিলো না কোন রাজনৈতিক অধিকার, ছিলো না সামাজিক নিরাপত্তা। এ দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যে প্রলুব্ধ হয়ে বিদেশীরা বার বার এ দেশে হানা দিয়েছে। লুন্ঠন করেছে  এ দেশের সম্পদ। এমনকি হার্মাদ জলদস্যুরা এ দেশের নর-নারীদের ধরে নিয়ে গিয়ে আরকান এমনকি সুদূর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দাস হিসেবে বিক্রি করে দিতো। অর্থাৎ এখানকার জনজীবন ছিলো স্পূর্ণ অনিরাপদ। তারপরও এখানকার জনগণ অসহায়ের মতো থেমে থাকেনি। মাঝে মাঝে এরাও প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে। সাঁওতাল বিদ্রোহ, কৈবর্ত বিদ্রোহ, তীতুমীরের বাঁশের কেল্লা ইত্যাদি তার প্রকৃষ্ট প্রমান।১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজ ঈষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কর্মচারী লর্ড ক্লাইভের সেনা বাহিনীর কাছে নবাব সিরাজ উদ দৌলা পরাজয় বরণ করেন সেনাপতি মীরজাফরের বিশ্বাস ঘাতকতার কারণে । দেশের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের একটা অংশ মনে করে সিরাজের পরাজয়ের সাথে সাথে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়। আসলে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য নয় বরং সামন্ত যুগের অবসানই সূচিত হয় সিরাজের পতনের সাথে। সিরাজও ছিলেন বংশগতভাবে বিদেশী। তবে ইংরেজদের শাসনামলে পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত ভারতবাসী তথা বাংগালরি মধ্যে ঘটতে থাকে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ। যার পরিণামে বৃটিশ খেদাও আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। ১৯৪৭ সালে ভারত বর্ষ বিভক্ত হয়ে জন্ম নেয় দুটি রাষ্ট্র-ভারতীয় ইউনিয়ন ও পাকিস্তান। পাকিস্তান আন্দোলনে বাংলার মুসলান সম্প্রদায়ের আন্দেলন ছিল অবিস্মরনীয়। পাকিস্তান রাষ্ট্রে তাদের আশা-আকাঙ্খা বাস্তবায়িত হবে এ ছিল বংলার জনগণের প্রত্যাশা ।কিন্তু প্রত্যাশা প্রত্যাশাই রয়ে গেলো। বরং শ্বত চর্মের শোষণ থেকে বাংগালী বাদামী চর্মের শোষণের শিকারে পরিনত হয়।  সেই ১৯৪৯ সালে াাওয়ামী মুসলিম লীগ তথা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে শুরু হলো বাংগালীর স্বাধীকার আদায়ের আন্দোলন। ১৯৫২ সালে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবিতে ঢাকার রাজপথে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা  মিছিল বের করলে পুলিশ নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে মিছিলের উপর। এতে শহীদ হন বরকত, সালাম, জব্বার, রফিক। সেই থেকে রাজনৈতিক মুক্তি আদায়ের সংগ্রাম তীব্রতর হতে শুরু করে। তখন থেকে রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে বঙ্গবন্ধুর বিচরণ আন্দোলনে সৃষ্টি করে প্রচন্ড গতিবেগ। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা, ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় পাকিস্তানী শাসকবর্গের ক্ষমতার মসনদে কাঁপন ধরিয়ে দেয়। অবশেষে বাংগালি জাতীয়তার পরিচয় দুনিয়ার বুক থেকে চিরতরে মুছে দেবার কু-অভিপ্রায়ে ১৯৭১ এর ২৫ শে মার্চের কালো রাত্রে নির¯্র্র বাংগালিদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করলে বাংলার জনগণ রুদ্ররোষে ফুঁসে উঠে। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ৯ ম্স রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৯৭১ এর ১৬ ই ডিসেম্বর পাক বাহিনী আত্মসমর্পন করে মিত্রবাহিনীর কাছে। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের। দুনিয়ার সর্বত্র পত পত করে উড়তে থাকে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা।  
                                                          ---০০০---

COX'S BAZAR GOVT. COLLEGE LOGO

cox college
We are make every kind of logo in adobe illustrator format,so if you need it don't hesitate
to call us. munir : 01815 232210.

COX'S BAZAR GOVT.COLLEGE LOGO

cox college
We make every kind of logo at illustrator format, if you need please don't hesitate to call us
munir : 01815 232210 , 01675 429143. thanks.

Wednesday, July 1, 2015

SAMPLE APPLICATION FOR ASKING LOAN

বরাবরে,
ম্যানাজার সাহেব
সোণালী ব্যাংক
---------- শাখা
---------।


বিষয় : ঋণ পাওয়ার আবেদন।


জনাব,
আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি -------------------, --------- কম্পিউটার বিভাগের প্রভাষক হই। আমি দীর্ঘদিন যাবত কম্পিউটার প্রিন্টিং ও বল পয়েন্ট পেন
রিফিল সিস্টেম ব্যাবসা পরিচালনা কওে আসছি। বর্তমানে আমার উক্ত ব্যাবসার পরিধি
সম্প্রসারনের জন্য আরো ৫ লক্ষ টাকা মুলধনের প্রয়োজন।

এমতাবস্থায় আমার ঋণের আবেদন মঞ্জুর করে বাধিত করবেন।


নিবেদক




.....................

Tuesday, June 30, 2015

স্বাধীনতা সুরক্ষায় আমাদের করণীয় - প্রফেসর মোশতাক আহমদ


হাজার বছর ধরে বিদেশী শাসন শোষণে জর্জরিত বাংলার জনগণ অধীর প্রত্যাশায় কাল গুণছিলো লাঞ্ছনা-বঞ্চনার অবসানের প্রত্যাশায়। প্রত্যাশায় ছিলো কবে তাদের মুক্তি ঘটবে, কবে তারা সত্যিকারের মানুষ হিসেবে সামজ-সংসারে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে।কবে তারা মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারবে, জীবনে আসবে সুখ আর স্বাচ্ছন্দ্য।

অবশেষে বৃটিশ সা¤্রাজ্যবাদী শাসকগোষ্ঠি ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ থেকে বিদায় নেবার প্রাক্কালে ভারতবর্ষকে বিভক্ত করে ভারতীয় মুসলিম জনগণের দাবি অনুযায়ী ভারতীয় ইউনিয়ন ও পাকিস্তান নামক আলাদা দুটি রাষ্ট্রের জন্ম দিয়ে যায়। পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তৎকালীন বাংলার মুসলমান সম্প্রদায়ের অবদান ছিলো অপরিসীম। স্বাভাবিকভাবেই তারা পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করে ও দেশের সমৃদ্ধি অর্জনে নিরলসভাবে কর্মকান্ড পরিচালনা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। বাংলার জনগণের প্রত্যাশা ছিলো এ নবীন রাষ্ট্র পাকিস্তানে তাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক তথা সার্বিক মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার সুযোগ মিলবে।
কিন্তু কালের পরিক্রমায় তাদের সে স্বপ্ন-সাধ ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়। ১৯৪৮ সালে সর্বপ্রথম রাষ্ট্র ভাষা বিষয়ে বিতর্ক ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে যখন তৎকালীন পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে ঘোষণা করলেন, “ টৎফঁ ধহফ টৎফঁ ধষড়হব ংযধষষ নব ঃযব ংঃধঃব ষধহমঁধমব ড়ভ চধশরংঃধহ”  । এরই ধারাবাহিকতায়  ১৯৫২ -এর  ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে মুসলিম লীগের ভরাডুবি আর যুক্ত ফ্রন্টের বিজয় শাসক গোষ্ঠিকে জানান দিয়ে যায় যে, পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে দাবিয়ে রাখা যাবে না আর। এরপর বাঙ্গালীদের উপর নেমে আসে নির্যাতন-নিপীড়নের খড়গ। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দাবি নিয়ে রাজনীতির অঙ্গঁনে এক বৈপ্লবিক আন্দোলনের সূচনা করলে দেশের মানুষ জেগে ওঠে। পাকিস্তানের রাজনীতিতে ঘটে যেতে থাকে অভাবনীয় পরিবর্তন। সামরিক আইন প্রশাসক ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের পতন ঘটলে  ক্ষমতায় অধিষ্টিত হন জেনারেল ইয়াহিয়া খান। তাঁর অধীনে ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও শাসনভার আওয়ামী লীগের কাছে হস্তান্তর না করে বরং নিরস্্র্্র বাংগালী নিধনে পাক সামরিক জান্তা শুরু করে দেয় ইতিহাসের নজিরবিহীন গণ হত্যা। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বাংলার আপমর জনগণ। অবশেষে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিশ্¦ের মানচিত্রে জাতিরাষ্ট্র হিসাবে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশের। স্বাধীন, সার্বভৌম, অসম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ স্বাধীনতার সূচনালগ্ন থেকে নিরলসভাবে কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ সাধনে।

আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি আজ চার দশক অতিবাহিত হতে চলেছে। আমরা অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে নানা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এগিয়ে চলেছি। কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তান বানানোর পরিকল্পনা নিয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

আজ “ চারিদিকে নাগিণীরা ফেলিতেছে বিষাক্ত নিঃস্বাস”। দেশ, জাতি, স্বাধীনতা আজ এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন। যারা মুক্তিযুদ্ধকালে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধীতা করেছিল, যারা অত্যাচারী পাক বাহিনীর দোসর হিসেবে বাংলার জনগণকে দুনিয়ার বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য দুশমনদের সহযোগিতা করেছিলো তারা আবার দেশে কাল নাগিণীর ফণা বিস্তার করে বাংলার স্বাধীনতা ধ্বংস করার কাজে সর্বশক্তি নিয়োগ করে চলেছে। অনতিবিলম্বে এদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করে এদের বিষদাঁত ভেঙ্গেঁ দিতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে। যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার জনগণ স্বাধীনতা সংগ্রামে অবতীর্ন হয়েছিল সে বোধ জাগ্রত করতে হবে আমাদের নবীণ প্রজন্মের মাঝে। আর এ জন্য স্কুল-কলেজ-বিশ্বাবদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সন্নিবেশিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে স্বাধীনতার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করতে হবে জনমনে। দেশ আজ এক সাংঘর্ষিক রাজনীতির আবর্তে নিপতিত। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও শিষ্টাচারের অভাব অত্যন্ত পীড়াদায়ক যা জাতির জন্য কোন শুভ লক্ষণ নয়। সকল রাজনৈতিক দলকে এ কথা মনে রাখতে হবে, দলের চাইতে দেশের স্বার্থকে উর্ধ্বে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে ব্যাক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়।

বিগত সরকারের আমলে জঙ্গীবাদের উত্থান হলেও বর্তমান সরকারের আমলে তাদেরকে দমন করা সম্ভবপর হয়েছে। কিন্তু  দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনও ধর্মান্ধ। সবাইকে মনে রাখতে হবে ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। সকল সম্প্রদায়কে একযোগে রাষ্ট্রের উন্নয়ন তথা স্বাধীনতা সুরক্ষার জন্য স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখতে হ।ে

সবাইকে দলমতের উর্ধ্বে থেকে দেশ ও জাতির স্বার্থকেই প্রাধান্য দিতে হবে। দল নয় ক্ষমতা নয় দেশকেই ভালবাসতে হবে। দেশের কল্যাণকেই অগ্রাধীকার দিতে হবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে। ঘুষ-দুর্নীতি সমাজদেহকে দূষিত করে ফেলেছে। কঠোর হস্তে দূর্নীতি দমন করতে হবে। এ ব্যাপারে কোন আপোষকামীতাকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। স্বাধীনতা সুরক্ষা তথা অর্থবহ করতে হলে দেশকে দারিদ্র ও নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হবে। দরিদ্র জনগণকে অর্থের প্রলোভনে ফেলে তাকে দিয়ে যে কোন অপকর্ম সাধন করা সহজ ব্যাপার। আর জনমনে যে পাকিস্তানী মানসিকতা এখনো সক্রিয় রয়েছে তা দূরীভূত করতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। শতভাগ মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। গ্রামাঞ্চলে বসবাসরত অধিকাংশ মানুষ এখোনো পাকিস্তান মনোভাবাপন্ন।  তথ্য মন্ত্রণালয়কে বিভিন্ন কর্মকান্ড- প্রদর্শনী ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের মন থেকে এ ভ্রান্ত মনোভাব দূরীভূত করার উদ্যোগ নিতে হবে অবিলম্বে। সর্বোপরি গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকরূপ দিতে হবে। গণতন্ত্রের রীতি-নীতি সবাইকে মেনে চলতে হবে।

সংক্ষেপে বলতে হয়, স্বাধীনতা অর্জন যেমন কঠিন  তাকে রক্ষা করা আরো কঠিন। প্রকৃতপক্ষে, জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ, ধর্মন্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা জনমানস থেকে দূরীভূত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এটা যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত করা যাবে না ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা হুমকির সম্মুখীন থাকতে বাধ্য।



---০০০---

COX'S BAZAR

CAOX'S BAZAR POURASHAVA
COX'S BAZAR POURASHAVA